Friday, February 20, 2009
একুশের কবিতা : অজস্র একুশ : নীল মানব
সকাল হতেই
খোলা প্রান্তরে ধূসর চিল উড়বেই
জানি
কাকেরা দলবদ্ধ হতেই ছোঁ মেরে যাওয়া
স্বপ্নে
হতশ্রী চেহারার বেয়নেটবিদ্ধ শিমুল
স্তব্ধ হয়ে হয়ে যায় ; অধিক দূর
দেবদারুর গা ঘেষে গেছে
অতন্দ্র প্রহরীরা অতপর
থেমে থেমে ছড়ায়েছে
দমকা হাওয়া; হাওয়ায়
তবুও কমলা রংয়ের তীব্রতায় মিশে গেছে
যে কৃষ্ণচূড়া
তার রসায়নে তীব্রতর হতেছে
ঝাঁঝালো স্বাদ এবং
ধীরে ধীরে
একটা মিছিল হয়ত জন্ম নিতে থাকে
এখানে ; অন্যখানে
হয়ত আঁতুরঘরে ; সেখানেই
আমি জন্ম নেই
-আমরাও
২
কথোপকথনে অনবরত ঘরোয়া মুদ্রায়
ঢাকা পড়ে ক, খ, গ, ঘ ও ঙ
রোমন্থন হতে থাকে ; অধিকতর রোমন্থনে
কবিতার একটি বই হতে থাকে অন্য বই
কোথাও জীবন্ত বইমেলা আর
তার পাশ ঘেষে
ক্রমাগত হেঁটে গেছে যে রাজপথ
তার মাঝে দাড়িয়ে
অহর্নিশ বায়ান্ন কিংবা
অজস্র একুশে
জেগে থাকে
শতাব্দীর পর
শতাব্দী জুড়ে
বর্ণমালা - স্বরবর্ণে আর ব্যঞ্জনে
ম্লান সন্ধ্যায় কোথাও হয়ত চুপিসারে তারা আজো
ঘরে ফিরে
সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার -
ওরা সব আবার আসবে বলে.....
একুশের গান
শুরুতে এটি কবিতা হিসেবে লেখা হয়েছিল। তৎকালীন যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক কবিতাটি আব্দুল লতিফকে দিলে তিনি এতে সুরারোপ করেন। পরবর্তীতে, লতিফ আতিকুল ইসলাম প্রথম গানটি গান। ঢাকা কলেজের কিছু ছাত্র কলেজ প্রাঙ্গনে শহীদ মিনার স্থাপনের চেষ্টা করার সময়ও গানটি গেয়েছিল। একারণে তাদেরকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
পরবর্তীতে আলতাফ মাহমুদ, যিনি সেসময়কার একজন নামকরা সুরকার এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, গানটিতে পুনরায় সুরারোপ করেন। বর্তমানে এটিই গানটির প্রাতিষ্ঠানিক সুর হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের সব অঞ্চল থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শত শত মানুষ এই গান গেয়ে শহীদ মিনার অভিমুখে খালি পায়ে হেঁটে যান।
ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রভাত ফেরীতে এই গান গেয়ে সবাই শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যায়। গানটি রচয়িতা আব্দুল গাফফার চৌধুরী এবং প্রথম সুরারোপ করেন আব্দুল লতিফ। কিন্তু পরবর্তীতে সুরকার আলতাফ মাহমুদ গানের সুরে পরিবর্তন আনেন। বর্তমানে আলতাফ মাহমুদের সুর করা গানটিই গাওয়া হয়। বিবিসি শ্রোতা জরিপে বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ গানের তালিকায় এটি তৃতীয় স্থান লাভ করেছে।
একুশের উপর রচয়িত আরো কিছু গানের ডাউনলোড লিংক এখানে - একুশের গান
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
শহীদ মিনার ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ। এটি ঢাকার কেন্দ্রস্থলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থিত।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
১৯৫৬ সালে আবু হোসেন সরকারের মুখ্যমন্ত্রিত্বের আমলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বর্তমান স্থান নির্বাচন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। তৎকালীন পূর্ত সচিব (মন্ত্রি) জনাব আবদুস সালাম খান মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে 'শহীদ মিনারের' ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য চূড়ান্তভাবে একটি স্থান নির্বাচন করেন।
- ↑ "দৈনিক ইত্তেফাক", ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬, শেষের পাতা।
- ↑ "বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন, রফিকুল ইসলাম, প্রকাশকালঃ ফেব্রুয়ারি ২০০৬, পাতা ৫১, ISBN 984-494-028-1।"
ভাষা সৈনিকদের তালিকা : সংগৃহীত
নারায়নগঞ্জ
মুস্তাফা সারোয়ার ॥ মুস্তাফা মনোয়ার ॥ সিরাজুল হক ।
মানিকগঞ্জ
প্রমথ নন্দী ॥ মোঃ রেহাজ উদ্দিন ॥ মোঃ ওয়াজউদ্দিন মাষ্টার ॥ সাহারা খাতুন ॥ খন্দকার দেলোয়ার হোসেন ॥
মুন্সিগঞ্জ
ডা. এম এ কাদের ॥ মোঃ আব্দুস বাসেত ॥
নরসিংদী
এস এম চান মিয়া ॥ আবুল হাশিম মিয়া ॥ রমিজউদ্দিন ভূইয়া ॥ আব্দুল করিম মিয়া ॥
টাঙ্গাইল
বদিউজ্জামান খান ॥ সৈয়দ নুরুল হুদা ॥ আলী আকবর খান খোকা ॥ আলতাফ হোসেন ॥ রোকেয়া রহমান ॥
ফরিদপুর
ইমাম উদ্দিন আহমেদ ॥ মুনাওয়ার হোসেন ॥ এম এ লতিফ ॥ লিয়াকত হোসেন ॥ মহিউদ্দিন ॥ ননী গোপাল সাহা ॥ শেখ মহিউদ্দিন ॥ এস এম নুরুন্নবী ॥
শরীয়তপুর
মোঃ নুরুল ইসলাম ॥ রবীন্দ্রনাথ ঘটক ॥
চট্টগ্রাম
মাহবুবুল আলম চৌধুরী ॥ আব্দুল্লাহ আল হারুন ॥ চৌধুরী হারুন অর রশিদ ॥ এম এ আজিজ ॥ জহুর আহমদ চৌধুরী ॥ রফিকউদ্দিন আহমদ সিদ্দিকী ॥ আজিজুর রহমান ॥ কৃষ্ণ গোপাল সেন ॥ কলিম শরাফী ॥
ফেনী
খাজা আহমদ ॥ এম এম হুদা ॥ জুলফিকার হায়দার চৌধুরী ॥ লুৎফর রহমান (ভানু) ॥
কুমিল্লা
সালাউদ্দিন
নোয়াখালী
রইস উদ্দিন ॥ কামাল উদ্দিন ॥ তারকবন্ধুনাথ ॥ আহসান উল্লাহ ॥ সহিদ উদ্দিন ইসকান্দার ॥
ব্রাহ্মনবাড়িয়া
মোহাম্মদ মুসা ॥ লুৎফর রহমান ॥ মালেক মিয়া ॥
খুলনা
শেখ রাজ্জাক আলী ॥
যশোর
হামিদা রহমান ॥ আফসার আহমেদ সিদ্দিকী ॥ আলমগীর সিদ্দিকী ॥ মশিউর রহমান ॥ মোঃ একরামুল হক ॥ ঈমান আলী মাষ্টার ॥ এম এইচ জিন্নাহ ॥
ঝিনাইদহ
এম এনামুল হক ॥ জাহিদ হোসেন ॥ মনোয়ারা বেগম ॥ গুলজার হোসেন ॥ আমির হোসেন মালিতা ॥
কুষ্টিয়া
অ্যাডভোকেট মোঃ মহসিন ॥ সৈয়দ আলতাফ হোসেন ॥
চূয়াডাঙ্গা
মোঃ শাহজাহান ॥ আবুল হাসেম ॥ আজিজুল হক ॥ ডা. আসহাবুল হক ॥ আছগর আলী মোল্লা ॥ আবু সালেহ জোয়ার্দার ॥
মাদারীপুর
সরদার আবুল ফজল ॥ মোঃ মতিয়ার রহমান ॥ মিয়া আব্দুল ওহাব ॥
গোপালগঞ্জ
আব্দুস সাত্তার মোল্লা ॥ এস এম ফজলুর রহমান ॥ পরেশ চন্দ্র বিশ্বাস ॥ আবুল হোসেন ভূইয়া ॥
সিলেট
নাসির আহমেদ চৌধুরী ॥ সিরাজ উদ্দিন আহমেদ ॥ দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ ॥ দেওয়ান ফরিদ গাজী ॥ হাজেরা মাহমুদ ॥ পীর হাবিবুর রহমান ॥ মাহমুদ আলী ॥ মতিন উদ্দিন আহমদ ॥তসদ্দুক আহমেদ ॥ সাদত খান ॥ সৈয়দ মোতাহীর আলী ॥ মুহম্মদ নূরুল হক ॥ বাহাউদ্দিন আহমদ ॥ মসউদ খান ॥ সাফাত আহমেদ চৌধুরী ॥ আবু সায়ীদ মাহমুদ ॥ আসদ্দর আলী ॥ মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী ॥
হবিগঞ্জ
আফসার আহমেদ ॥ মোস-ফা শহীদ ॥ মোহাম্মদ মাহবুবুল বারী ॥ চৌধুরী আব্দুল হাই ॥ মোঃ ফজলুল হক ॥ সৈয়দ আফরোজ বখত ॥
মাগুরা
আবদুর রশীদ ॥ আবদুস সালাম ॥ আলী আহমেদ ॥ এ কে এম হামিদুজ্জামান ॥ মির্জা শওকত হোসেন ॥ নাসিরুল ইসলাম ॥
ময়মনসিংহ
রফিক উদ্দিন ভূইয়া হোসেন ॥ শামছুল হক ॥ মোস-ফা এম এ মতিন ॥ মহাদেব স্যানাল ॥ হাতেম আলী তালুকদার ॥
শেরপুর
ডা. সাদেকুর রহমান ॥ অমূল্য রতন সিংহ ॥ রবি নিয়োগী ॥ নিজাম উদ্দিন ॥ আহছান উল্লাহ ॥ শামছুল হুদা ॥
জামালপুর
সৈয়দ আব্দুস সাত্তার ॥ সৈয়দ আব্দুস সোবাহান ॥
নেত্রকোনা
ওয়াজেদ আলী ॥ আছিম উদ্দিন আহমেদ ॥ ফজলুর রহমান খান ॥ এ কে এম ফজলুল কাদের ॥ আব্দুল আলী ।
কিশোরগঞ্জ
আবু তাহের খান পাঠান ॥ হেদায়েত হোসেন ॥ আশরাফ উদ্দিন মাষ্টার ॥ মিসিরউদ্দিন আহমদ ॥ জগদীশ পন্ডিত ॥
সৈয়দপুর
মতিউর রহমান ॥
রংপুর
আফতাবুর নাহার ॥ মনিকৃষ্ণ সেন ॥ মোঃ নুরুল ইসলাম ॥ শংকর বসু ॥ নাজাতুল আলম জেবিন ॥ মকসুদ হোসেন ॥ হাবিবুর রহমান চৌধুরী ॥ । দিনাজপুর
হাজী মোহাম্মদ দানেশ ॥
রাজশাহী
এম আতাউর রহমান ॥ অধ্যাপক মোঃ একরামুল হক ॥ আবুল কাশেম চৌধুরী ॥ কাজী আব্দুল মান্নান ॥ ড. এস এম আব্দুল গাফফার ॥ কসিমুদ্দিন আহমেদ ॥ মহসীন প্রামানিক ॥ সাঈদ উদ্দিন আহমেদ ॥ আব্দুস সাত্তার ॥ মমতাজ উদ্দিন আহমদ ॥ বিচারপতি আনসার আলী ॥ মোহসেনা বেগম ॥ মনোয়ারা বেগম ॥ ক্যাপ্টেন শামসুল হক ॥ মাদার বখস ॥ হাফিজা বেগম টুকু ॥ ডা. আজিজুল বারী চৌধুরী ॥ এডভোকেট আবুল কালাম চৌধুরী ॥ । পাবনা
শওকতজান চৌধুরী ॥ কমরেড প্রসাদ রায় ॥ সেলিনা বানু ॥ রণেশ মৈত্র ॥ আমজাদ হোসেন ॥ ফকরুল ইসলাম ।
সিরাজগঞ্জ
সাইফুল ইসলাম ॥ আবুল হোসেন ॥ সাহাবুদ্দিন সরকার ॥ আবুল ফাত্তা নূরে এলাহী ॥ মেহের নিগার নূরে এলাহী ॥ মোতাহার হোসেন তালুকদার ॥ জিতেন্দ্রনাথ নিয়োগী ॥
বগুড়া
মুখলেছুর রহমান ॥ জালাল উদ্দিন আকবর ॥ নুরুল হোসেন মোল্লা ॥ দুর্গাপদ মুখার্জী ॥ মোশারফ হোসেন মন্ডল ॥ গোলাম মহিউদ্দিন ॥ এইচ এম মতিয়ার রহমান ॥ ।
বরিশাল
কাজী বাহাউদ্দিন আহমদ ॥ সামছুল হক চৌধুরী ॥ আবুল হাসেম ॥ এ কে এম আমির উদ্দিন ॥ মিসেস হামিদউদ্দিন ॥ মোশারফ হোসেন মোচন ॥ মিহির লাল দত্ত ॥
পটুয়াখালী
সৈয়দ আশরাফ হোসেন ॥ খন্দকার খালেক ॥
.................................................................................................
তথ্য সূত্রঃ
সি এম তারেক রেজা প্রণীত একুশ ভাষা আন্দোলনের সচিত্র ইতিহাস (১৯৪৭-১৯৫৬)
ভাষা সৈনিক - শহীদ শফিউর রহমান
সংক্ষিপ্ত জীবনী
শফিউর রহমান বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোন্নগরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মাহবুবুর রহমান ছিলেন ঢাকার পোস্ট এন্ড টেলিগ্রাফ অফিসের সুপারিনটেনডেন্ট। কলকাতা গভর্ণমেন্ট কমার্শিয়াল কলেজ হতে আই.কম. পাস করে শফিউর রহমান চব্বিশ পরগনা সিভিল সাপ্লাই অফিসে কেরানীর চাকরি গ্রহণ করেন। ১৯৪৫ সালে কলকাতার তমিজউদ্দিনের কন্যা আকিলা খাতুনের সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। দেশ বিভাগের পর পিতার সঙ্গে ঢাকায় এসে ঢাকা হাইকোর্টে হিসাব রক্ষণ শাখায় কেরানী পদে যোগ দেন।
যেভাবে শহীদ হলেন
১৯৫২-র ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল দশটার দিকে ঢাকার রঘুনাথ দাস লেনের বাসা থেকে সাইকেলে চড়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সকাল সাড়ে দশটার দিকে নওয়াবপুর রোডে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ গুলি করলে গুলি শফিউর রহমানের পিঠে এসে লাগে। আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। তাঁর শরীরে অস্ত্রোপ্রচার করা হয়। অস্ত্রোপ্রচার সফল না হওয়ায় ঐদিন সন্ধ্যা সাতটায় মৃত্যুবরণ করেন।
ভাষা সৈনিক - শহীদ রফিক উদ্দিন
প্রাথমিক জীবন ও পরিবার
রফিক উদ্দিনের পিতার নাম আবদুল লতিফ ও মাতা রাফিজা খাতুন। রফিকউদ্দিনের পিতা আবদুল লতিফ ছিলেন ব্যাবসায়ী, কলকাতায় ব্যাসা করতেন। রফিকউদ্দিনের শৈশবের পড়ালেখা শুরু কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউটে। এরপরে মানিকগঞ্জের বায়রা স্কুলে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর রফিকউদ্দিনের পিতা ঢাকায় চলে আসেন। এখানে বাবুবাজারে আকমল খাঁ রোডে পারিল প্রিন্টং প্রেস নামে ছাপাখানা চালু করেন। বায়রা স্কুল থেকে ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিক পাস করে রফিক উদ্দিন মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্রনাথ কলেজে বানিজ্য বিভাগে ভর্তি হন। আই.কম. ক্লাস পর্যন্ত পড়লেও পরে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকায় এসে পিতার সঙ্গে প্রেস পরিচালনা করতে শুরু করেন। পরে আবার জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫২ সালে
বাহান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে
তাজা বুকের খুনে
বুলেটির ধুম্রজালে
ওড়না বিহার বুনে।
এ ভাষার-ই মান রাখিতে
হয় যদিবা জীবন দিতে
কোটি ভাইয়ের রক্ত দিয়ে
পুরাবে এর মনের আশা।
- জসীম উদ্দীন
ভাষা সৈনিক - শহীদ আবদুল জব্বার
আবদুল জব্বার (জন্মঃ ২৬ আশ্বিন ১৩২৬ বাংলা, ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ, পাঁচাইর গ্রাম, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ জেলা; মৃত্যুঃ ২১শে ফেব্রুয়ারি,১৯৫২, ঢাকা) ভাষা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ। তাঁর শহীদস্মৃতি পরবর্তীকালে বাঙালি জাতিকে জাতীয় চেতনা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। এ চেতনার বলেই ১৯৭১ সালের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
প্রাথমিক জীবন ও পরিবার
আবদুল জব্বারের পিতার নাম আবদুল কাদের। স্থানীয় পাঠশালায় কিছুকাল অধ্যয়নের পরে দারিদ্রের কারনে লেখাপড়া ত্যাগ করে পিতাকে কৃষিকাজে সাহায্য করেন। পনের বছরে নিজ খেয়ালে সবার অজান্তে গৃহত্যাগ করেন। নারায়ণগঞ্জে এসে সেখানে জাহাজ ঘাটে এক ইংরেজ সাহেবের সান্নিধ্যে আসেন। সাহেব তাঁকে একটি চাকরি দিয়ে বার্মায় পাঠান। সেখানে দশ-বারো বছর অবস্থান করেন। এরপর দেশে ফিরে আসেন এবং আমেনা খাতুন নামে এক যুবতীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আমেনা-জব্বার দম্পতি এক পুত্র সন্তান জন্ম দেন।
তার পুত্রের জন্ম হওয়ার কিছুকাল পরে তার শাশুড়ি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। শাশুড়িকে নিয়ে ১৯৫২ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারী ঢাকায় আসেন। হাসপাতালে রুগী ভর্তি করে আবদুল জব্বার মেডিকেলের ছাত্রদের আবাসস্থল (ছাত্র ব্যারাক) গফরগাঁও নিবাসী হুরমত আলীর রুমে (২০/৮) উঠেন। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনরত ছাত্রদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হলে, কি হয়েছে দেখবার জন্য তিনি রুম থেকে বের হয়ে আসেন। তখনই পুলিশ গুলি শুরু করে এবং জব্বার আহত হন। ছাত্ররা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জব্বারকে মৃত ঘোষণা করেন। তাকে যারা হাসপাতালে নিয়ে যান, তাদের মধ্যে ছিলেন ২০/৯ নম্বর কক্ষের সিরাজুল হক।
এ-কোন মৃত্যু ? কেউ কি দেখেছে মৃত্যু এমন,
শিয়রে যাহার ওঠে না কান্না, ঝরে না অশ্রু ?
হিমালয় থেকে সাগর অবধি সহসা বরং
সকল বেদনা হয়ে ওঠে এক পতাকার রং
এ-কোন মৃত্যু ? কেউ কি দেখেছে মৃত্যু এমন,
বিরহে যেখানে নেই হাহাকার ? ...................
- আলাউদ্দিন আল আজাদ
ভাষা সৈনিক - শহীদ আবুল বরকত
দুপুর বেলার অক্ত
বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায়
বরকতেরই রক্ত।
হাজার যুগের সূর্যতাপে
জলবে, এমন লাল যে
সেই লোহিতেই লাল হয়েছে
ভাষা সৈনিক - শহীদ আবদুস সালাম
knx` Avãym mvjvg
‡dbx †Rjvi j¶Ycyi MÖv‡gi Avãym mvjvg wQ‡jb mwPevj‡qi wcqb| NUbvi w`b XvKv †gwW‡Kj K‡j‡Ri mvg‡b we¶zä RbZv 144 aviv †f‡½ ivRc‡_ wgwQj Ki‡j cywjk wbwe©Pv‡i ¸wjel©Y K‡i, G‡Z mvjvg ¸wjwe× nb| Zuv‡K †gwW‡K‡j fwZ© Kiv‡bv nq| 7 GwcÖj 1952,knx` mvjvg †gwW‡K‡jB †kl wbtk¦vm Z¨vM K‡ib| GLb ch©š— Zuvi Ke‡ii mÜvb cvIqv hvqwb|
gv‡Mv, Iiv e‡j mevi K_v †K‡o †b‡e| ‡Zvgvi †Kv‡j ï‡q Mí ïb‡Z †`‡e bv| e‡jv, gv, ZvB wK nq? ZvB†Zv Avgvi †`ix n‡”Q| ‡Zvgvi Rb¨ K_vi Szwo wb‡q Z‡eB bv evwo wdi‡ev| gv‡Mv Iiv e‡j Avey Rvdi Ievq`yjvn
আবদুস সালাম (জন্মঃ ১৯২৫ লক্ষণপুর গ্রাম, ফেনী; মৃত্যুঃ এপ্রিল ৭,১৯৫২) মহান ভাষা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ। তাঁর শহীদস্মৃতি পরবর্তীকালে বাঙালি জাতিকে জাতীয় চেতনা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। এ চেতনার বলেই ১৯৭১ সালের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
আবদুস সালামের পিতার নাম মোহাম্মদ ফাজিল মিয়া। আবদুস সালাম কর্মজীবনে সরকারের ডিরেক্টরেট অব ইন্ডাস্ট্রিজ বিভাগের পিয়ন ছিলেন। বাস করতেন নীলক্ষেত ব্যারাকে। বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২-র ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সম্মুখের রাস্তায় ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে বিক্ষোভ প্রদর্শনরত ছাত্র-জনতার উপর পুলিশ গুলি চালালে সালাম গুলিবিদ্ধ হন। আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। দেড় মাস চিকিৎসাধীন থার পর ৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
Tuesday, February 3, 2009
Hilly View : Chittagong Hill Tracts
Hill Districts: The Hill Tracts is divided into three districts, namely Rangamati, Khagrachari and Bandarban.
Khagrachari : Khagrachhari is the natural wild beauty of Bangladesh. Here you can visit the tribal lifestyle of Chakmas’ in Khagrachari. You can also visit Alutila hill. Approximately 100 meters long a very dark Cave is the mysterious beauty of Alutila hill.
The Shailapropat is a waterfall in Bandarban. Its also a tourist attraction of waterfall surrounded by hills & forest.
Comilla : A Brief
BARD (BangladeshAcademy for Rural Development) : This is one of the main attractions in Comilla. This is one of the richest academic institutions for conducting research and action research; execute projects and pilot experimentation and imparting training in the diversified areas of rural development. The famous Comilla Model has been developed for sustained development. Besides academic excellence, the beautiful gardens and planned plantations of various trees are really enjoyable.
Lalmai Moinamoti and Shalbon Bihar :They are famous historical and archeological places around Comilla. These are a series of hillocks, where the Northern part is called Moinamoti and the Southern part is called Lalmai; and Shalbon Bihar is in the Middle of Lalmai and Moinamoti, which the was established in 8th century by King Buddadev. Salban Vihara, almost in the middle of the Mainarnati-Lalmai hill range consists of 115 cells, built around a spacious courtyard with cruciform temple in the centre facing its only gateway complex to the north resembling that of the Paharpur Monastery.
Kotila Mura situated on a flattened hillock, about 5 km north of Salban Vihara inside the Comilla Cantonment is a picturesque Buddhist establishment. Here three stupas are found side by side representing the Buddhist "Trinity" or three jewels i.e. the Buddha, Dharma and Sangha.
Charpatra Mura is an isolated small oblong shrine situated about 2.5 km. north-west of kotila Mura stupas. The only approach to the shrine is from the East through a gateway, which leads to a spacious hall.
You will find the historical things found in Lalmai & Moinamoti of 7th & 8th centuries. The Mainamati site Museum has a rich and varied collection of copper plates, gold and silver coins and 86 bronze objects. Over 150 bronze statues have been recovered mostly from the monastic cells, bronze stupas, stone sculptures and hundreds of terracotta plaques each measuring on an average of 9" high and 8" to 12" wide. Mainamati is only 114 km. from DhakaCity and is just a day's trip by road on way to Chittagong.
Cox's Bazar : The Wonderful Beauty
Locally made cigars and handloom products of the tribal Rakhyne families are good buys.Every year lots of foreign & local tourist come here to spend their leisure in Cox’s Bazaar. Though the season is in winter but Cox's Bazar sea beach is crowded almost through out the year. Especially in winter season, it is hard to get an accommodation in the hotels if booking is not made earlier.
If you are really adventurous and want to enjoy the wildness and madness of the ruff and tuff Sea you can come to Cox's bazar in the month of mid April, Sea continue its wildness till August; and its even more exotic if you come to Cox's Bazar in the time of depression of the Sea.
Himchori and InaniBeach : There are many attractions for the tourists around Cox’s Bazaar. From Cox’s BazaarSea shore, you can go to these places by jeep and it is really exotic to drive on the seashore. Himchori is famous for waterfall, though in the winter season it dwindles but during the rainy season it’s really a fabulous and full waterfall can be enjoyed. Inani beach is famous for the rock and coral boulders; you will find big coral boulders in this beach. You can plan a trip to Inani beach via Himchory for a half day or may be a full day sightseeing. Please take packet lunch with you.
Moheshkhali Island : It is another attraction for the tourists who go to Cox’s Bazaar. An island off the coast of Cox's Bazar. It has an area of 268 square kilometers. Through the center of the island and along the eastern coastline rises, a range of low hills, 300 feet high; but the coast to the west and north is a low-lying treat, fringed by mangrove jungle. In the hills on the coast is built the shrine of Adinath, dedicated to Siva. By its side on the same hill is Buddhist Pagoda. You can go to this Island by local motorboat called trawler or by speedboat. By trawler, it takes an hour and a half and by speedboat, it takes only half an hour to reach this Island. You will find mangrove forests, hilly areas, salt field etc. This island is famous for BuddhistTemple and Pagoda; you can enjoy a full day sight seeing if you intend to visit Sonadia and some other Islands nearby. In the morning you can start for Moheskhali, spend time to watch Moheskhali’s tourist places, take lunch there and on return you can visit Sonadia and other nearby Islands where you can sea the live fishing & fishermen lifestyle; By the afternoon you can come back to Cox’s Bazaar.
Sonadia Island : It is about seven kilometer of Cox's Bazar and about nine square kilometer in area. The western side of the island is sandy and different kinds of shells are found on the beach. Off the northern part of the island, there are beds of windowpane oysters. During winter, fisherman set up temporary camps on the island and DriesSea fishes, which they catch from Sea.
St. Martins Island : St. Martins Island is the most beautiful Coral Island where you will find live corals. Its only 30 km from Teknaf and you can go there by local motorboat, tourist boats, or sea truck..This small coral island about 10km (6mi) southwest of the southern tip of the mainland is a tropical cliché, with beaches fringed with coconut palms and bountiful marine life.
There’s nothing more strenuous to do here than soak up the rays, but it’s a clean and peaceful place without even a mosquito to disrupt your serenity.It’s possible to walk around the island in a day because it measures only 8 sq km (3 sq mi), shrinking to about 5 sq km (2 sq mi) during high tide. Most of island’s 5500 inhabitants live primarily from fishing, and between October and April fisher people from neighboring areas bring their catch to the island’s temporary wholesale market.n this Island, you will find the beautiful Coral reef and long Coral beach and lots of coconut trees. The local name of the coconut is Narikel and the original name of this Island is Narikel Jinjira is derived from that. Accommodation in St. Martins Island is limited, so it is advisable to book accommodation before you plan to go to this Island. Motel Nijhum is one of the best hotels in St. Martins Island. To book in Motel Nijhum, confirm you reservation from Dhaka. You will hardly get a chance to stay in this hotel if you are a sudden visitor of St. Martins Island. The other good hotels are Prashad Paradise & Sraboni Bilash. Booking of these hotels are also possible from Dhaka. All these three hotels are situated adjacent to Seashore. From these hotels lobby or veranda, you can enjoy the Sea. There are some other motels and hotels established in St. Martins Island.Overnight staying in St. Martins Island is really an exotic feeling where you will feel and listen the sound of Sea. If you are lucky enough then you can spend the exotic moonlit night at St. Martins Island. The beauty of Full moon in St. Martins Island cannot be expressed, if you are not there at that time.
Cheera-dwip : is a part of St. Martins Island but divided during tides. You can go to Cheera-dwip by walking. About two and a half hours walk from St. Martins Island or you can go there also by local motorboat or tourist boat. In that Island you will find the Corals - living and dead all over the Island. A small bush is there which in the only green part of Cheera-dwip, enhancing the beauty of this island. People do not live in this Island, so advisable for the tourists to go there early and come back by afternoon.
Nijhum Island : This Island could be the next prime tourist spot after St. Martins Island. It’s a natural beauty of mangrove forests where you will find Dears of specific species and Monkeys. A huge numbers of migrated birds come in this Island in winter season, enhancing the beauty of this Island.
The Aggameda Khyang, Cox's Bazar : Equally elaborate in plan, elevation and decoration is the Aggameda Khyang near the entrance to the Cox's Bazar town, which nestles at the foot of a hill under heavy cover of a stand of large trees. The main sanctuary-cum-monastery is carried on a series of round timber columns, which apart from accommodating the prayer chamber and an assembly hall, also is the repository of a large of small bronze Buddha images-mostly of Burmese origin-- and some old manuscripts. Beyond the main khyang to the south, there is an elevated wooden pavilion and a smaller brick temple with a timber and corrugated metal root. Apart from bearing an inscription in Burmese over its entrance, the temple contains some large stucco and bronze Buddha images.
The village has a charm of its own. Weavers ply their trade in open workshops and craftsmen make handmade cigars in their pagoda like houses.
Tourist Attractions in Chittagong Districts
Besides the sea beach, you can enjoy boating and river cruise in the River Karnaphuli. You can see the busy seaport activities here. Just Awesome with Speed Boat service, Horse Riding in the Beach area.
Sitakunda : The famous Chandranath Temple & Buddhist temples are in Sitakundu, 37 km for from Chittagong city. Famous among the many temples in this place, the ChandranathTemple and the BuddhistTemple has a footprint of Lord Buddha. These places particularly the hilltops are regarded as very sacred by the Buddhists and the Hindus. Siva-chaturdashi festival is held every year in February when thousands of pilgrims assemble for the celebrations, which last about ten days. There is a salt-water spring 5 km. to the north of Sitakunda, known as Labanakhya.You can enjoy the steer ridings to go to Chandranath’s temple by walking. It is situated on the top of the hill from where you can enjoy the beauty of the sea & also the hill areas. Now in sitakunda there’s made an eco park.