প্রাথমিক জীবন ও পরিবার
রফিক উদ্দিনের পিতার নাম আবদুল লতিফ ও মাতা রাফিজা খাতুন। রফিকউদ্দিনের পিতা আবদুল লতিফ ছিলেন ব্যাবসায়ী, কলকাতায় ব্যাসা করতেন। রফিকউদ্দিনের শৈশবের পড়ালেখা শুরু কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউটে। এরপরে মানিকগঞ্জের বায়রা স্কুলে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর রফিকউদ্দিনের পিতা ঢাকায় চলে আসেন। এখানে বাবুবাজারে আকমল খাঁ রোডে পারিল প্রিন্টং প্রেস নামে ছাপাখানা চালু করেন। বায়রা স্কুল থেকে ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিক পাস করে রফিক উদ্দিন মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্রনাথ কলেজে বানিজ্য বিভাগে ভর্তি হন। আই.কম. ক্লাস পর্যন্ত পড়লেও পরে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকায় এসে পিতার সঙ্গে প্রেস পরিচালনা করতে শুরু করেন। পরে আবার জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫২ সালে
বাহান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে
বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২-র ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সম্মুখের রাস্তায় ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে বিক্ষোভ প্রদর্শনরত ছাত্র-জনতার মিছিলে রফিক অংশগ্রহন করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হোস্টেল প্রাঙ্গনে পুলিশ গুলি চালালে সেই গুলি রফিকউদ্দিনের মাথায় লাগে। গুলিতে মাথার খুলি উড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। মেডিকেল হোস্টেলের ১৭ নম্বর রুমের পূর্বদিকে তার লাশ পড়ে ছিল। ছয় সাত জন ধরাধরি করে তার লাশ এনাটমি হলের পেছনের বারান্দায় এনে রাখেন। তাদের মাঝে ডাঃ মশাররফুর রহমান খান রফিকের গুলিতে ছিটকে পড়া মগজ হাতে করে নিয়ে যান।
বসনে এর রং মেখেছি
তাজা বুকের খুনে
বুলেটির ধুম্রজালে
ওড়না বিহার বুনে।
এ ভাষার-ই মান রাখিতে
হয় যদিবা জীবন দিতে
কোটি ভাইয়ের রক্ত দিয়ে
পুরাবে এর মনের আশা।
- জসীম উদ্দীন
তাজা বুকের খুনে
বুলেটির ধুম্রজালে
ওড়না বিহার বুনে।
এ ভাষার-ই মান রাখিতে
হয় যদিবা জীবন দিতে
কোটি ভাইয়ের রক্ত দিয়ে
পুরাবে এর মনের আশা।
- জসীম উদ্দীন
Thanks for great topic.
ReplyDeletefrom TutorialBD.com