আবুল বরকত (জন্মঃ জুন ১৩, ১৯২৭ বাবলা গ্রাম, ভরতপুর, মুর্শিদাবাদ; মৃত্যুঃ ২১শে ফেব্রুয়ারি,১৯৫২) মহান ভাষা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ। তাঁর শহীদস্মৃতি পরবর্তীকালে বাঙালি জাতিকে জাতীয় চেতনা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। এ চেতনার বলেই ১৯৭১ সালের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
আবুল বরকতের পিতার নাম মরহুম শামসুদ্দিন। তার জন্ম অবিভক্ত ভারতবর্ষের মুর্শিদাবাদ (বর্তমানে ভারতের একটি জেলা) জেলার অরতপুর থানার বাবলা গ্রামে। শহীদ বরকত সেখানকার় তালিবপুর হাইস্কুল থেকে ১৯৪৫-এ মেট্রিক এবং বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে ১৯৪৭-এ আই.এ পাস করেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৮-এ মুর্শিদাবাদ ত্যাগ করে ঢাকায় চলে আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৫১-তে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে দ্বিতীয় শ্রেনীতে চতুর্থ হয়ে বি.এ. অনার্স পাস করেন। অতঃপর স্নাতোকোত্তর শ্রেনীতে ভর্তি হন। বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২-র ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সম্মুখের রাস্তায় ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে বিক্ষোভ প্রদর্শনরত ছাত্র-জনতার উপর পুলিশ গুলি চালালে হোস্টেলের ১২ নম্বর শেডের বারান্দায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হোন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ভর্তি অবস্থায় রাত আটটার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগের জন্য ২০০০ সালে বাংলাদেশ সরকার শহীদ বরকতকে একুশে পদক প্রদান করে।
ফেব্রুয়ারীর ২১ তারিখ
দুপুর বেলার অক্ত
বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায়
বরকতেরই রক্ত।
হাজার যুগের সূর্যতাপে
জলবে, এমন লাল যে
সেই লোহিতেই লাল হয়েছে
দুপুর বেলার অক্ত
বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায়
বরকতেরই রক্ত।
হাজার যুগের সূর্যতাপে
জলবে, এমন লাল যে
সেই লোহিতেই লাল হয়েছে
কৃষ্ণচূড়ার ডাল যে,
-কবি আল মাহমুদ
No comments:
Post a Comment